খুলনার বাজারে তৈরি হয়েছে সয়াবিন তেলের সংকট। বেশির ভাগ দোকানে নেই বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেল। দামও বেশ চড়া। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। সংকট নিয়ে ব্যবসায়ীরা ডিলারদের দোষারোপ করলেও তেলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে বলে জানান ডিলাররা।

নগরীর বড় বাজারের একটি দোকানে এক লিটারের পাঁচটি বোতলজাত সয়াবিন তেল রয়েছে। বোতলগুলোর গায়ের মূল্য মুছে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে বিক্রেতাদের চলছে বাগ্বিতণ্ডা।

খুলনার বেশির ভাগ বাজারেই সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ দোকানেই নেই বোতলজাত সয়াবিন তেল। হাতে গোনা কয়েকটি দোকানে খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও, তারও দাম চড়া। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮২ টাকা পর্যন্ত। অথচ বোতলজাত সয়াবিন তেলের মূল্য লেখা রয়েছে ১৬৮ টাকা। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

বেশি দামে তেল বিক্রি করা হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে ক্রেতারা বলেছেন, বোতলের গায়ে যে দাম লিখা, তা ঘষে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। খোলা তেল ও বোতলজাত তেল দোকানে ঝুলানো ছিল। আজ বাজারে এসে দেখি কোনো তেলই নেই।

তেল সংকটকের জন্য ডিলারদের দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পর্যাপ্ত মজুতের কথা জানিয়েছেন ডিলাররা।

বাজারে তেলের সংকটের দায় কোম্পানির ওপর দিয়ে বিক্রেতারা বলেন, কোম্পানিতে ক্রয়াদেশ দিয়েছি, কিন্তু পণ্য এখনো সরবরাহ করেনি। দুই দিন কিনি, দুই দিন বিক্রি করি। বাজারে সব তেলের সংকট। কোম্পানি আজ দুই মাস তেল দেয় না। বেশি দামে পণ্য কিনলে, বেশি দামে বিক্রি করব। কম দামে কিনলে, কম দামে বিক্রি করব।

এদিকে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি হলে ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের। এবিষয়ে খুলনা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম বলেন, কত দামে কিনছেন, কত দামে বিক্রয় করছেন এবং বিক্রেতারা যথাযথভাবে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছেন কি না বা হালনাগাদ করছেন কি না- এ নিয়ে কোনো অভিযোগ আসলে, আমরা সেটি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিব।

উল্লেখ্য, স্বাভাবিক বাজারে খুলনায় গড়ে প্রতিদিন ২ কোটি টাকার সয়াবিন তেল কেনাবেচা হয়।